Post by Admin on Oct 15, 2015 18:36:45 GMT 6
এর আগেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় শিল্পীদের আনা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। তবু আগামী ২০ নভেম্বর তৃতীয় আসরের উদ্বোধনীতেও তাঁদেরই শরণাপন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল মাতাতে নিয়ে আসা হচ্ছে বলিউড তারকা হৃতিক রোশান ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে। তা নিয়েই প্রশ্নের মুখে বিসিবির মুখপাত্র ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য জালাল ইউনুসের দাবি, অনুষ্ঠানের 'গ্ল্যামার' বাড়ানোর স্বার্থেই তাঁরা বাজার মাত করার পুরনো পথে হেঁটেছেন।
এই টুর্নামেন্টের স্বার্থে তাঁরা আরো অনেক কিছুই করার চেষ্টা করেছেন। যার কোনো কোনোটি আবার তাঁদের নিজেদেরই করা নিয়মের কঠোর বিধিনিষেধ ডিঙিয়ে অনিয়মের পথও খুলে দিতে পারে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের করে দেওয়া দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের তালিকা থেকে 'প্লেয়ার্স বাই চয়েস' নামের লটারিভিত্তিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খেলোয়াড় বাছাই করে নেওয়ার কথা টুর্নামেন্টের ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির। সেই অনুষ্ঠানটি প্রথমে ৩১ অক্টোবর হওয়ার কথা থাকলেও এখন সেটি এগিয়ে আনা হয়েছে ২৬ অক্টোবর। তার আগে নিজেরাই বেশ কয়েকজন বিদেশি তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের দলভুক্ত করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। গতকাল দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেই খবর দিলেন খোদ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, দ্বিতীয় আসরে বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসকে ফাইনালে তোলা ক্যারিবীয় তারকা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল এবার তাঁর প্রথম বিপিএলের দল বরিশালেই ফিরছেন।
ঢাকা ডায়নামাইটস নিশ্চিত করেছে কুমার সাঙ্গাকারাকে। এর আগে ঢাকার হয়ে খেলা শহীদ আফ্রিদির ঠিকানা এবার সিলেট রয়্যালস। আরেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক নাম লিখিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। তিলকরত্নে দিলশান ভিড়েছেন চট্টগ্রামে। আরেক লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরার গন্তব্য ঠিক হয়েছে রংপুর রাইডার্স। এই মানের বিদেশিদের ক্ষেত্রে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ৭০ হাজার ইউএস ডলার হলেও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নিজেরাই যোগাযোগ করায় তাঁদের প্রাপ্তির অঙ্ক নিশ্চিতভাবেই আরো অনেক বেশি হচ্ছে। এভাবে 'প্লেয়ার্স বাই চয়েস'-এর বাইরে গিয়ে খেলোয়াড় বাছাইয়ের সুযোগ দেওয়ার ব্যাখ্যায় মল্লিক টুর্নামেন্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর স্বার্থের কথাই বললেন, 'আমাদের টুর্নামেন্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর স্বার্থে এ সুযোগটি দিতেই হতো। আফ্রিদি, গেইল ও মালিকের মতো ক্রিকেটাররা ৭০ হাজার ডলারে আসতে চাইত না। এটা নিয়ে আমরা অনেকবার কথা বলেছি। চার-পাঁচজন ক্রিকেটারকে ৭০ হাজারের বেশিতে নিতে হয়েছে। টুর্নামেন্টের স্বার্থে নিতেই হতো।' সেই সঙ্গে তিনি আরো যোগ করেছেন, 'দেখুন, এই ক্রিকেটাররা আমাদের তালিকায় থাকলে ৭০ হাজারের বেশি পেত না। কিন্তু ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করলে ওদের দাম তো বাড়বেই। গেইলকে নিতে যেমন চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজি যোগাযোগ করেছিল। সে তো বেশি চাইবেই।'
তবে চুক্তি যে অঙ্কেরই হোক না কেন, বিসিবি কেবল ৭০ হাজার ডলারেরই দায়িত্ব নেবে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব, 'দলগুলো সরাসরি ক্রিকেটারদের নিলে ৭০ হাজার ডলারের বেশি কারো পারিশ্রমিকের দায়িত্ব আমরা নেব না। ধরুন কোনো ক্রিকেটার ১ লাখ ৩০ হাজার ডলারে রাজি হলো। সে ক্ষেত্রে ক্রিকেটাররা এলে ওদের আমরা একটি ফরম ধরিয়ে দেব। যাতে ওদের এই মর্মে সই করতে হবে যে ৭০ হাজার ডলারের বাইরে ওদের যা পাওনা, তার দায়িত্ব বিসিবি নেবে না।' সে ক্ষেত্রে অবশ্য বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক খাতে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা অপ্রদর্শিত থেকে যাওয়ার শঙ্কাও থাকছে। এর সঙ্গে আবার কর ফাঁকির ব্যাপারটিও যুক্ত। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এমন নজির কম নয়। মল্লিক অবশ্য সেই শঙ্কা এই বলে উড়িয়ে দিতে চাইলেন, 'ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে অবশ্যই চুক্তির অঙ্ক প্রকাশ করতে হবে। না হলে ট্যাক্স কিভাবে হবে। চুক্তিপত্র বোর্ডে জমা দিতে হবে। একটা কপি আমরা এনবিআরেও পাঠিয়ে দেব।' ৭০ হাজারের বেশি পারিশ্রমিকে খেলোয়াড় নিলেও প্রত্যেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য বিসিবির বেঁধে দেওয়া অঙ্কে হেরফের হবে না বলেও দাবি তাঁর, 'ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বলে দিয়েছি, ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের পারিশ্রমিক বাবদ সর্বোচ্চ ছয় কোটি টাকা খরচ করা যাবে। সেখানে ৭০ হাজারের বেশি পারিশ্রমিকের ক্রিকেটার হয়তো একজনই থাকবে। বাকি ক্রিকেটারদের তো আমাদের বেঁধে দেওয়া পারিশ্রমিকেই নেবে। ৭০ হাজারের বেশি পারিশ্রমিক একাধিক খেলোয়াড়ের হলে অন্যদের ক্ষেত্রে তারা কম খরচ করবে।' তুলনায় দেশের 'আইকন' ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক অনেক কম (৩৫ লাখ টাকা) নির্ধারণ করায় বিদেশিদের পেছনে বাড়তি ব্যয়ের পথও তো কম মসৃণ হয়নি!
এই টুর্নামেন্টের স্বার্থে তাঁরা আরো অনেক কিছুই করার চেষ্টা করেছেন। যার কোনো কোনোটি আবার তাঁদের নিজেদেরই করা নিয়মের কঠোর বিধিনিষেধ ডিঙিয়ে অনিয়মের পথও খুলে দিতে পারে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের করে দেওয়া দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের তালিকা থেকে 'প্লেয়ার্স বাই চয়েস' নামের লটারিভিত্তিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খেলোয়াড় বাছাই করে নেওয়ার কথা টুর্নামেন্টের ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির। সেই অনুষ্ঠানটি প্রথমে ৩১ অক্টোবর হওয়ার কথা থাকলেও এখন সেটি এগিয়ে আনা হয়েছে ২৬ অক্টোবর। তার আগে নিজেরাই বেশ কয়েকজন বিদেশি তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের দলভুক্ত করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। গতকাল দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেই খবর দিলেন খোদ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, দ্বিতীয় আসরে বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসকে ফাইনালে তোলা ক্যারিবীয় তারকা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল এবার তাঁর প্রথম বিপিএলের দল বরিশালেই ফিরছেন।
ঢাকা ডায়নামাইটস নিশ্চিত করেছে কুমার সাঙ্গাকারাকে। এর আগে ঢাকার হয়ে খেলা শহীদ আফ্রিদির ঠিকানা এবার সিলেট রয়্যালস। আরেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক নাম লিখিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। তিলকরত্নে দিলশান ভিড়েছেন চট্টগ্রামে। আরেক লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরার গন্তব্য ঠিক হয়েছে রংপুর রাইডার্স। এই মানের বিদেশিদের ক্ষেত্রে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ৭০ হাজার ইউএস ডলার হলেও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নিজেরাই যোগাযোগ করায় তাঁদের প্রাপ্তির অঙ্ক নিশ্চিতভাবেই আরো অনেক বেশি হচ্ছে। এভাবে 'প্লেয়ার্স বাই চয়েস'-এর বাইরে গিয়ে খেলোয়াড় বাছাইয়ের সুযোগ দেওয়ার ব্যাখ্যায় মল্লিক টুর্নামেন্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর স্বার্থের কথাই বললেন, 'আমাদের টুর্নামেন্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর স্বার্থে এ সুযোগটি দিতেই হতো। আফ্রিদি, গেইল ও মালিকের মতো ক্রিকেটাররা ৭০ হাজার ডলারে আসতে চাইত না। এটা নিয়ে আমরা অনেকবার কথা বলেছি। চার-পাঁচজন ক্রিকেটারকে ৭০ হাজারের বেশিতে নিতে হয়েছে। টুর্নামেন্টের স্বার্থে নিতেই হতো।' সেই সঙ্গে তিনি আরো যোগ করেছেন, 'দেখুন, এই ক্রিকেটাররা আমাদের তালিকায় থাকলে ৭০ হাজারের বেশি পেত না। কিন্তু ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করলে ওদের দাম তো বাড়বেই। গেইলকে নিতে যেমন চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজি যোগাযোগ করেছিল। সে তো বেশি চাইবেই।'
তবে চুক্তি যে অঙ্কেরই হোক না কেন, বিসিবি কেবল ৭০ হাজার ডলারেরই দায়িত্ব নেবে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব, 'দলগুলো সরাসরি ক্রিকেটারদের নিলে ৭০ হাজার ডলারের বেশি কারো পারিশ্রমিকের দায়িত্ব আমরা নেব না। ধরুন কোনো ক্রিকেটার ১ লাখ ৩০ হাজার ডলারে রাজি হলো। সে ক্ষেত্রে ক্রিকেটাররা এলে ওদের আমরা একটি ফরম ধরিয়ে দেব। যাতে ওদের এই মর্মে সই করতে হবে যে ৭০ হাজার ডলারের বাইরে ওদের যা পাওনা, তার দায়িত্ব বিসিবি নেবে না।' সে ক্ষেত্রে অবশ্য বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক খাতে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা অপ্রদর্শিত থেকে যাওয়ার শঙ্কাও থাকছে। এর সঙ্গে আবার কর ফাঁকির ব্যাপারটিও যুক্ত। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এমন নজির কম নয়। মল্লিক অবশ্য সেই শঙ্কা এই বলে উড়িয়ে দিতে চাইলেন, 'ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে অবশ্যই চুক্তির অঙ্ক প্রকাশ করতে হবে। না হলে ট্যাক্স কিভাবে হবে। চুক্তিপত্র বোর্ডে জমা দিতে হবে। একটা কপি আমরা এনবিআরেও পাঠিয়ে দেব।' ৭০ হাজারের বেশি পারিশ্রমিকে খেলোয়াড় নিলেও প্রত্যেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য বিসিবির বেঁধে দেওয়া অঙ্কে হেরফের হবে না বলেও দাবি তাঁর, 'ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বলে দিয়েছি, ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের পারিশ্রমিক বাবদ সর্বোচ্চ ছয় কোটি টাকা খরচ করা যাবে। সেখানে ৭০ হাজারের বেশি পারিশ্রমিকের ক্রিকেটার হয়তো একজনই থাকবে। বাকি ক্রিকেটারদের তো আমাদের বেঁধে দেওয়া পারিশ্রমিকেই নেবে। ৭০ হাজারের বেশি পারিশ্রমিক একাধিক খেলোয়াড়ের হলে অন্যদের ক্ষেত্রে তারা কম খরচ করবে।' তুলনায় দেশের 'আইকন' ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক অনেক কম (৩৫ লাখ টাকা) নির্ধারণ করায় বিদেশিদের পেছনে বাড়তি ব্যয়ের পথও তো কম মসৃণ হয়নি!