Post by nazmul07bd on Oct 16, 2015 14:19:08 GMT 6
শুধু সাকিব-তামিম-মাশরাফি-মুশফিকরাই নন, বিপিএল মাতাবেন গেইল-আফ্রিদি-সাঙ্গাকারা-দিলশানরাও। এরই মধ্যে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বিদেশি এই তারকা খেলোয়াড়দের চুক্তি হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) হচ্ছে, এটা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর থেকেই নানা গুঞ্জন চলছিল। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় সেসবের অনেক কিছুই এখন পরিষ্কার। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কাল বিপিএল-বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক শেখ সোহেল, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
বিপিএলের তৃতীয় আসরে আইকন খেলোয়াড় হিসেবে থাকছেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ ও নাসির হোসেন। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে তাদের দল। এ নিয়ে একটি জটিলতা অবশ্য সৃষ্টি হতে পারে, তবে সেটি নিরসনের উপায়ও আছে। যেমনটি বললেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ‘আইকন খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি অনুসরণ করব আমরা। প্রথমত আমরা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে জানতে চাইব তারা কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে চায়। আবার ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গেও আলোচনা করা হবে তারা কোন খেলোয়াড় নিতে চায়। এখন এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যে, একাধিক আইকন খেলোয়াড় একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলতে চায় কিংবা একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি একই খেলোয়াড় চাইছে। এ রকম হলে আমরা খেলোয়াড় ও ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করব।’
সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই এই প্রক্রিয়াটা সেরে ফেলতে চায় গভর্নিং কাউন্সিল। এর পর আইকন খেলোয়াড়েরা ২৬ অক্টোবরের ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েস’ পর্বে নিজ নিজ দলের খেলোয়াড় নির্বাচন-প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন।
বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেকের সঙ্গেও এরই মধ্যে চুক্তি করে ফেলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ইসমাইল হায়দার মল্লিকের তথ্য অনুযায়ী, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলকে নিশ্চিত করেছে বরিশাল, কুমার সাঙ্গাকারা খেলবেন ঢাকা ডিনামাইটসের হয়ে, শহীদ আফ্রিদি থাকছেন সিলেট রয়্যালসে, শোয়েব মালিককে নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা, চট্টগ্রামে খেলবেন তিলকরত্নে দিলশান, রংপুর রাইডার্সে দেখা যাবে থিসারা পেরেরাকে।
যাঁদের সঙ্গে ইতিমধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে, ইসমাইল হায়দার নিশ্চিত করেছেন তাঁরা ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েস’ পর্বে থাকছেন না, ‘আমরা বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে খবর পেয়েছি এ রকম ধরনের কিছু বড় খেলোয়াড় বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। সেই খেলোয়াড়েরা ইতিমধ্যে আমাদের তালিকা থেকে নাম তুলে নিয়েছে। আমাদের তালিকায় থাকা আরও যেসব খেলোয়াড় নিলামের আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি সই করে ফেলবেন, তাঁরাও তালিকার বাইরে চলে যাবেন।’ দেশি খেলোয়াড়দের অবশ্য সরাসরি দলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তাঁদের ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েসে’র মাধ্যমেই নিতে হবে।
একটি দল সর্বোচ্চ ১২ জন বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পারবে। ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েস’ তালিকায় থাকা বিদেশি ১৯৬ জনের মধ্য থেকে কমপক্ষে ৩ জন খেলোয়াড়কে কিনতে বাধ্য প্রতিটি দল। এ ছাড়া প্রতি ম্যাচের একাদশে ৪ জন বিদেশিকে খেলানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব বলেছেন, ‘যত ভালো খেলোয়াড় খেলবেন, আমাদের দেশের খেলোয়াড়েরা তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তত উন্নতি করবেন। আর তালিকায় যেসব বিদেশি খেলোয়াড় আছেন তাদের বেশির ভাগই খুব ভালো।’
যদিও খেলোয়াড় তালিকায় আছেন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অপরাধে সাজা খাটা মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ কিংবা নাসির জামশেদ ও ড্যারেন স্টিভেনসের মতো বিতর্কিত খেলোয়াড়েরা। এমনিতেই বিপিএলের দ্বিতীয় আসর কলঙ্কিত হয়ে আছে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে। মল্লিক আশাবাদী যে এবার তেমন কিছু হবে না, ‘শাস্তি কাটানোর পর আইসিসি ছাড়পত্র দিয়েছে বলেই ওঁদের তালিকায় রাখা হয়েছে। আমির বা স্টিভেনস, সবাই ছাড়পত্র পেয়েছেন। আর আকসু আছে, যারা সার্বক্ষণিক এসব পর্যবেক্ষণ করবে।’
প্রশ্ন উঠেছে আয়োজকদের দেওয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়েও। বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুসই জানিয়েছেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন বলিউড অভিনেতা হৃতিক রোশন ও অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ এবং কণ্ঠশিল্পী কে কে। দেশের শিল্পীদের মধ্যে থাকবেন সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা ও মমতাজের মধ্যে যেকোনো একজন।’ এর আগেও বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় শিল্পী এনে সমালোচিত হওয়ার পর এবার আবার কেন সেটা করা হচ্ছে? জালাল ইউনুসের ব্যাখ্যা, ‘গ্ল্যামারের ব্যাপার আছে এখানে। গ্ল্যামার বাড়ানোর জন্য ভারত থেকে শিল্পী আনা হচ্ছে। আমাদের এখানকার আরও কিছু পারফরমার থাকবে। এলআরবি থাকতে পারে, চিরকুট ব্যান্ড থাকতে পারে। কিন্তু গ্ল্যামারের জন্যই ভারতীয় শিল্পী আনতে হচ্ছে।’
Source: Prothom-alo
তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) হচ্ছে, এটা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর থেকেই নানা গুঞ্জন চলছিল। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় সেসবের অনেক কিছুই এখন পরিষ্কার। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কাল বিপিএল-বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক শেখ সোহেল, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
বিপিএলের তৃতীয় আসরে আইকন খেলোয়াড় হিসেবে থাকছেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ ও নাসির হোসেন। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে তাদের দল। এ নিয়ে একটি জটিলতা অবশ্য সৃষ্টি হতে পারে, তবে সেটি নিরসনের উপায়ও আছে। যেমনটি বললেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ‘আইকন খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি অনুসরণ করব আমরা। প্রথমত আমরা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে জানতে চাইব তারা কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে চায়। আবার ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গেও আলোচনা করা হবে তারা কোন খেলোয়াড় নিতে চায়। এখন এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যে, একাধিক আইকন খেলোয়াড় একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলতে চায় কিংবা একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি একই খেলোয়াড় চাইছে। এ রকম হলে আমরা খেলোয়াড় ও ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করব।’
সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই এই প্রক্রিয়াটা সেরে ফেলতে চায় গভর্নিং কাউন্সিল। এর পর আইকন খেলোয়াড়েরা ২৬ অক্টোবরের ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েস’ পর্বে নিজ নিজ দলের খেলোয়াড় নির্বাচন-প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন।
বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেকের সঙ্গেও এরই মধ্যে চুক্তি করে ফেলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ইসমাইল হায়দার মল্লিকের তথ্য অনুযায়ী, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলকে নিশ্চিত করেছে বরিশাল, কুমার সাঙ্গাকারা খেলবেন ঢাকা ডিনামাইটসের হয়ে, শহীদ আফ্রিদি থাকছেন সিলেট রয়্যালসে, শোয়েব মালিককে নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা, চট্টগ্রামে খেলবেন তিলকরত্নে দিলশান, রংপুর রাইডার্সে দেখা যাবে থিসারা পেরেরাকে।
যাঁদের সঙ্গে ইতিমধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে, ইসমাইল হায়দার নিশ্চিত করেছেন তাঁরা ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েস’ পর্বে থাকছেন না, ‘আমরা বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে খবর পেয়েছি এ রকম ধরনের কিছু বড় খেলোয়াড় বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। সেই খেলোয়াড়েরা ইতিমধ্যে আমাদের তালিকা থেকে নাম তুলে নিয়েছে। আমাদের তালিকায় থাকা আরও যেসব খেলোয়াড় নিলামের আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি সই করে ফেলবেন, তাঁরাও তালিকার বাইরে চলে যাবেন।’ দেশি খেলোয়াড়দের অবশ্য সরাসরি দলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তাঁদের ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েসে’র মাধ্যমেই নিতে হবে।
একটি দল সর্বোচ্চ ১২ জন বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পারবে। ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েস’ তালিকায় থাকা বিদেশি ১৯৬ জনের মধ্য থেকে কমপক্ষে ৩ জন খেলোয়াড়কে কিনতে বাধ্য প্রতিটি দল। এ ছাড়া প্রতি ম্যাচের একাদশে ৪ জন বিদেশিকে খেলানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব বলেছেন, ‘যত ভালো খেলোয়াড় খেলবেন, আমাদের দেশের খেলোয়াড়েরা তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তত উন্নতি করবেন। আর তালিকায় যেসব বিদেশি খেলোয়াড় আছেন তাদের বেশির ভাগই খুব ভালো।’
যদিও খেলোয়াড় তালিকায় আছেন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অপরাধে সাজা খাটা মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ কিংবা নাসির জামশেদ ও ড্যারেন স্টিভেনসের মতো বিতর্কিত খেলোয়াড়েরা। এমনিতেই বিপিএলের দ্বিতীয় আসর কলঙ্কিত হয়ে আছে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে। মল্লিক আশাবাদী যে এবার তেমন কিছু হবে না, ‘শাস্তি কাটানোর পর আইসিসি ছাড়পত্র দিয়েছে বলেই ওঁদের তালিকায় রাখা হয়েছে। আমির বা স্টিভেনস, সবাই ছাড়পত্র পেয়েছেন। আর আকসু আছে, যারা সার্বক্ষণিক এসব পর্যবেক্ষণ করবে।’
প্রশ্ন উঠেছে আয়োজকদের দেওয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়েও। বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুসই জানিয়েছেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন বলিউড অভিনেতা হৃতিক রোশন ও অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ এবং কণ্ঠশিল্পী কে কে। দেশের শিল্পীদের মধ্যে থাকবেন সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা ও মমতাজের মধ্যে যেকোনো একজন।’ এর আগেও বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় শিল্পী এনে সমালোচিত হওয়ার পর এবার আবার কেন সেটা করা হচ্ছে? জালাল ইউনুসের ব্যাখ্যা, ‘গ্ল্যামারের ব্যাপার আছে এখানে। গ্ল্যামার বাড়ানোর জন্য ভারত থেকে শিল্পী আনা হচ্ছে। আমাদের এখানকার আরও কিছু পারফরমার থাকবে। এলআরবি থাকতে পারে, চিরকুট ব্যান্ড থাকতে পারে। কিন্তু গ্ল্যামারের জন্যই ভারতীয় শিল্পী আনতে হচ্ছে।’
Source: Prothom-alo